Tuesday, November 19, 2019

অসাধারণ এক লেখা!


নাগরিক জীবনের চাকা যেভাবে থেমে যায় তা এই লেখা পড়লে জানা যাবে। অসাধারণ নান্দনিক একটি লেখা; কষ্টের গল্পও এতো সুন্দর করে লেখা যায় কী করে?→

সময় যত গড়াচ্ছে রাঙামাটির সবকিছুই যেন ফুরিয়ে আসছে। পাঁচ টাকার একটি মোমবাতি, সেটার জন্য হচ্ছে কাড়াকাড়ি। চালের কেজি ১০০টাকার উপর, আলুর কেজি ১০০টাকা, মরিচের কেজি ৭০০টাকা ছাড়িয়েছে, প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮টাকা। চেরাগে(বাতি) কেরোসিন ভরে সেহেরিতে ঘর রাঙাবে, রাঙামাটিতে এখন কেরোসিনের জন্য চলছে মারামারি। বিদ্যুৎ মঙ্গলবার ভোরে সেই যে গেল আর ফেরেনি। চার্জ দিতে না পারায় সব মোবাইল ফোন বন্ধ। শহরে তেল ফুরিয়েছে, তাই কার্যকর নেই কোনো জেনারেটর। মেঘলা আকাশ- রোদ নেই, সোলার প্যানেলগুলোর অাপাতত অবসর। রিকশাহীন- তেলহীন শহর রাঙামাটিতে তেলচালিত অটোরিকশার চাকা বন্ধ হবে হবে বলছে। রাঙামাটি শহরে প্রবেশের চারটি পথ। সবকটাই মাটিধসের অবরোধ। শহরে পণ্যবাহী গাড়ি ঢোকার কোনো সুযোগ রাখেনি পাষাণ পাহাড়।
শহরজুড়ে পানি সরবরাহ বন্ধ, দোকানে দোকানে মিনারেল পানির মজুদ ফুরিয়েছে। পাহাড়ে সংবাদকর্মীরা এখন অসহায়। নেই ইন্টারনেট। মোবাইলের চার্জ নিভু নিভু। সংবাদ সংগ্রহে এমন দুঃসময় আর আসেনি পাহাড়ের সাংবাদিকদের সামনে। নিত্যপণ্য মিলছে না। আছে চাল-ডালের তীব্র সংকট। নৌপেথ অল্পসল্প যে সব তরকারি আসছে তা আকাশছোয়া দাম। কেরোসিন নেই, মোমবাতি নেই। সন্ধ্যায় রাঙা (সূর্য) আড়াল হলেই মাটির (ভূমিধস) জন্য পুরো রাঙামাটি হয়ে যায় মৃত্যুপূরীর আধাঁর। তখন আরো অসহায় পাহাড়ের মানুষ। সড়কপথ যেভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে, কেউ বলতে পারছে না রাঙামাটির পথে গাড়ির চাকা ঘুরবে কবে। দুঃখিত, বলতে পারছি না রাঙামাটি স্বাভাবিক হবে কবে!
উৎস: তমাল বড়ুয়া'র পোস্ট থেকে।
তথ্যসূত্র- "সাদা এপ্রোন" ফেসবুক পেজের সুত্র ধরে।

নান্দনিকতায় বিমুগ্ধতায় | Art of Life

No comments:

Post a Comment